ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধাওয়া খেয়ে রফিকের মৃত্যু, ৪ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
ধাওয়া খেয়ে রফিকের মৃত্যু, ৪ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

বরিশাল: বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ধাওয়ায় আগৈলঝাড়ায় রফিক হাওলাদার (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখী।

 

তিনি জানান, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া গৌরনদী মডেল থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদার, কনেস্টেবল ইসমাইল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও জিহাদ হোসেন (পিক-আপ চালক)।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই বরিশালের উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভাল্লুকশী গ্রামে তাস খেলার আসরে পুলিশের হানায় পালাতে গিয়ে রফিক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত রফিক হাওলাদার গৌরনদী উপজেলার বাগমারা গ্রামের মনু মিয়া হাওলাদারের ছেলে। তিনি প্রবাস জীবন শেষে বাড়িতে কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে এলাকায় কাজ কম। এলাকার কয়েকজন ভাল্লুকশী ব্রিজের ওপর তাস খেলছিল। সকালে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ তাদের তাস খেলতে নিষেধ করে যায়। পরে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ফেরার পথে পুনরায় তাদের তাস খেলতে দেখে টহল গাড়ি থামায়। এ সময় তারা দৌড় দিলে পুলিশও তাদের ধাওয়া দেন। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে রফিকের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী টিপু খান জানান, দুপুরে কৃষি ক্ষেতে কাজ করছিলেন রফিক। পাশেই তাস খেলারত সবাইকে ধাওয়া করে পুলিশ সদস্যরা। তাদের সঙ্গে দৌড়ে পালাতে গিয়ে রফিক অসুস্থ হয়ে পরে। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, রফিক তাস খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, অথচ কাছাকাছি থাকায় শাকিল নামে একজনকে পুলিশ তাকে মারধর করার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে বার্থী-মাগুরা সড়কে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা।

ধাওয়া দেওয়া ও মারধর করার বিষয় অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার এসআই আব্দুল হক সিকদার বলেন, পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড়ে পালাতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তাতে তার কি করার থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।