ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু: ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত, মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু: ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত, মামলা

গাজীপুর: গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক বন্দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।  

ঘটনার প্রায় এক বছর পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহাম্মদ বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।  

নিহত ব্যক্তির নাম গোলাম মোস্তফা (৩১)। তিনি মাদারীপুরের শিবচর থানার উতরাইল এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার ডেমরা থানার কোনাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। গোলাম মোস্তফা ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম মোস্তফাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে বন্দি থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ৭ জুন বিকেলে তাকে অচেতন অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ব্রডডেড হিসেবে ঘোষণা করেন এবং মরদেহ ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কামরুজ্জামান। ময়নাতদন্তের পর নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।  

এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।  

এ ব্যাপারে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বর্তমান সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওই আসামির মৃত্যুর সময় আমি এ কারাগারের দায়িত্বে ছিলাম না। কারাগারে বন্দিরা সব সময় বিশেষ নজরদারিতে থাকেন। বিভিন্ন সময় হতাশা থেকে বন্দিরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আবার অনেকে আত্মহত্যা করেন।  

মামলার বাদী কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহাম্মদ জানান, মৃত গোলাম মোস্তফার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত মতামত দিয়েছেন যে গোলাম মোস্তফা আত্মহত্যা করেননি। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাই আমি বাদী  হয়ে মামলাটি দায়ের করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএস/এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।