ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী জুনায়েদ মনির হত্যা মামলার প্রধান আসামি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আকরামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার আরামবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আকরামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের দণি পৈরতলায় অভিযান চালিয়ে জুনায়েদ মনিরের স্ত্রী চাঁদনী (১৮), তার মা শাহানা বেগম (৩৫) ও পুষ্প বেগম (৪৫) নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকরামকে ভোর ৪ টার দিকে মতিঝিল থানা পুলিশের সহায়তায় আরামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাখি হোটেল থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে মতিঝিল থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসআই আকবর জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আকরাম ওই হোটেলের নবম তলায় ৪০৩ নম্বর কে অবস্থান করছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকরাম পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী জুনায়েদ মনির হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এ সময় আকরাম জানান, জুনায়েদ মনিরের স্ত্রী চাঁদনী তার স্বামীকে হত্যার জন্য কান্দিপাড়ার রাজিব ও জনির সঙ্গে ৪ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক হত্যার দু’দিন আগে চাঁদনী সংবাদপত্রের কাগজে মুড়িয়ে অগ্রিম হিসাবে দু’লাখ টাকা রাজিবের হাতে তুলে দেন। হত্যার পর বাকি দু’ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
টাকা পেয়ে রাজিব ও জনি এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আকরামকে ভাড়া করেন।
গত ৪ আগস্ট ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আকরাম কান্দিপাড়ার রিফাতকে নিয়ে জুনায়েদ মনিরের বাসায় যান। এ সময় জুনায়েদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আশিক প্লাজার কোলাহল গার্মেন্টস থেকে ফিরে ভাত খেতে বসেছিলেন। আকরাম তাকে জরুরি কাজের কথা বলে নিচে আসতে বলেন।
মনির নিচে আসলে আকরাম তাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসেন। আকরামের ঘরে আগে থেকেই খুনিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর খুনিরা জুনায়েদ মনিরের হাত পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
হত্যার পর আকরাম তার বড় ভাই ইয়াছিনের সহায়তায় লাশ লেপ দিয়ে মুড়িয়ে নৌকায় করে তিতাস নদীর পৈরতলা পিয়ারী পুলের নিচে ফেলে চলে আসেন বলে জানান।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে নৌকার মাঝি ইউসুফ ও আকরামের মামাত ভাই মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০