ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ক্যামেরা মিটিং!

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ক্যামেরা মিটিং!

ঢাকা: সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠানের চিরায়ত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিলো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির মধ্যকার দ্বন্দ্ব চলছে অনেক দিন ধরে।

সম্প্রতি এটি প্রকাশ্য রূপ নেয়।

বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে সভা ডাকে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি প্রথম কোনো সংসদীয় কমিটির বৈঠকে টেলিভিশন ক্যামেরা ও এর সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হয় এদিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠকে কোনো সাংবাদিক, টেলিভিশন ক্যামেরা বা ফটোসাংবাদিক থাকার নজির নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পুরোটা সময়ই টেলিভিশন রিপোর্টার ও ক্যামেরা ক্রুরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এই ধরনের সভায় টেলিভিশন ক্যামেরা ও রিপোর্টারদের উপস্থিত থাকতে পারেন কী-না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১২টায় ।

তবে বিমানের এক কর্মকর্তা বলছেন, ২০ বছরের পুরনো কাবো এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়ে বিমানমন্ত্রী জি এম কাদের ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বন্দ্ব নতুন নয়। মন্ত্রী ও কমিটির দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই কেউ হয়তো সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে সহায়তা করেছে।

এ প্রসঙ্গে সংসদীয় কমিটির সদস্য মইনউদ্দীন খান বাদল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় গভীরভাবে আলোচনার জন্যই তারা বিমানের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা ডেকেছিলেন। কিন্তু টেলিভিশন সাংবাদিকদের অতর্কিত ভেতরে ঢুকে যাওয়ার ফলে তা সম্ভব হয়নি। ’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু পরেই চারটি টেলিভিশনের সাংবাদিক ক্যামেরা ক্রুদের নিয়ে ঢুকে পড়েন বিমানের সম্মেলন কক্ষে।

এ বিষয়ে বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এই বৈঠকের আয়োজক বিমান কর্তৃপক্ষ নয়। সুতরাং এর দায়-দায়িত্বও তাদের নয়।

বৈঠক চলাকালে দায়িত্ব পালনকারী বিমানের এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি প্রথমে বাধা দিলে তারা আমার ওপর ক্ষেপে যায়। তারা ভেতরে ঢুকে পড়লে স্যারেরাও আর কিছু বলেননি। ’

সভায় কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী জিএম কাদের, মইনউদ্দীন খান বাদল, শফিকুর রহমান, বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদীন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠান।

টেলিভিশন সাংবাদিকরা সভার ভেতরের আলোচনা ও খবরাখবর সংগ্রহ করেন। সভা শেষে সাংবাদিকরা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছে আবারো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান।

মইনউদ্দীন খান বাদল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত নয়। ভবিষ্যতে আর যেন না সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময় ২০০৫ ঘন্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।