ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জামায়াতকে ‘যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তার আলাদা কোনো ব্যাখ্যা হয় না। তিনি যেটা ভালো মনে করেছেন তাই বলেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলানিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার হোটেল শেরাটনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী আখ্যায়িত করেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা তাদের বিচার করতে পারিনি। স্বাধীনতা বিরোধীদেরও তখনকার সরকার ক্ষমা করে দিয়েছিল। আজ প্রায় চার দশক পর তাদের (স্বাধীনতা বিরোধী) ‘সহযোগীদের’ বিচারের কথা বলে জাতিকে হানাহানি’র দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। ’
চার দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত নেতাদের সম্পর্কে জোটনেত্রীর ওই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় ব্যাপক জল্পনা। এমনকি জাতীয় সংসদের শরৎকালীন অধিবেশনের সমাপনী ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গটি প্রাধান্য দেন।
এদিকে দলীয় পরিমণ্ডলেও চেয়ারপারসনের ওই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলানিউজের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হয় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে।
দলীয় প্রধানের বক্তব্যের রেশ ধরে স্বাধীনতার এতোবছর পর জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। দলের চেয়ারপারসন কথা বলার পর সে বিষয়ে আরও কিছু বলার থাকে বলে মনে করি না। ’
এর পরও কিছু বলার অনুরোধ করলে ড. মোশাররফ কিছুটা বিরক্তির সঙ্গে বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে আপনি উপস্থিত ছিলেন। আমিও উপস্থিত ছিলাম। আপনি যতটুকু শুনেছেন। আমিও ততটুকু শুনেছি। আপনি যতুটুকু বুঝেছেন। আমি তার চেয়ে বেশি কিছু বুঝিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০