ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে হত্যা মামলার কারাবন্দি আসামির হাসপাতালে মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
সিলেটে হত্যা মামলার কারাবন্দি আসামির হাসপাতালে মৃত্যু

সিলেট: সিলেটে হত্যা মামলার কারাবন্দি আসামির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত মাসুক মিয়া (৫৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গয়াছ মিয়া হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মাসুক মিয়া ‘আনকন্ট্রোল হাইপারটেনশন ও সাইড উইকনেস’(অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ ও পক্ষগাতগ্রস্ত) রোগী ছিলেন। গত ১ জুলাই হঠাৎ করে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তাকে কারাগার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ জুলাই বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কারা সূত্র জানায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বরুণী গ্রামের মরহুম জমির আলীর ছেলে ও দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন গয়াছ মিয়া। ২০২২ সালের ২৮ মে রাতে স্থানীয় পীরের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই রাতে মৃতের ছেলে মাজেদ আহমদ বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেন। হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন মাসুক মিয়া।

ওই বছরের ১৮ জুলাই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমার মামলাটি তদন্ত করেন। মামলার অপর ১০ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পর ২০২২ সালের ৯ আগস্ট সিলেট আদালতে হাজিরা দিলে তাদেরও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এজাহার নামীয় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় সিলেটের ডিবি পুলিশ। ওই বছরের ৩ জুন রাতে জগন্নাথপুর থানা এলাকা থেকে মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাসুক মিয়ার ভাগনে মজনু মিয়া বলেন, কারাগারে হঠাৎ মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মামা মারা যান। তাকে গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।