ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১৩টি ইউনিট বন্ধ ॥ সারাদেশে অসহনীয় লোডশেডিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

ঢাকা: সারাদেশে অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের পাশাপাশি সন্ধ্যা, মধ্যরাত এমনকি ভোররাতেও লোডশেডিং হচ্ছে।

এর কারণ জানতে চাইলে কোনো সুদুত্তর দিতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এখন দুটি সার কারখানা চালু হয়েছে। সার কারখানা চালু রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকটি কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গতমাসে দিনে অথবা রাতে লোডশেডিং হত দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেকখানি বেড়ে যায়। এখন দিন আর নেই, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে আর আসছে।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ বা ভাংচুরের ঘটনা তো ঘটছেই। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা চিন্তিত হলেও কোনো উদ্যোগ নেই।  

পিডিবির এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৮৩ ভাগ গ্যাস নির্ভর। ফলে দেশে গ্যাস সংকট হলে স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়ে বিদ্যুত উৎপাদনের ওপর।

বর্তমানে গ্যাসের অভাবে প্রায় সাড়ে ৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে। রমজানের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি হলেও এখন উৎপাদন হচ্ছে তিন হাজার ৮শ’ থেকে চার হাজার মেগাওয়াট। রমজানে ৮শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেলেও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭শ থেকে ৭শ’ ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এছাড়া এই মুহূর্তে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩টি ছোট বড় ইউনিট বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান। এর মধ্যে একটি গ্যাস সঙ্কটে বাকি ১০টিই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। এ ইউনিটগুলো চালু থাকলে জাতীয় গ্রিড আরও ৮শ’ ৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি পাওয়া যেত।

শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাসের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। আর যান্ত্রিক ত্রুটিসহ সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ ইউনিটগুলো হচ্ছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন নম্বর ইউনিট, ঘোড়াশালের দুই, পাঁচ ও ছয় নম্বর, টঙ্গী ও খুলনার ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই নম্বর ইউনিট, হরিরুরের তিন নম্বর, সিদ্ধিরগঞ্জ ১০৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট এবং আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার নম্বর ইউনিট। সর্বশেষ গতকাল সকালে আশুগঞ্জ জিটি-১ ও স্টিম ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬, ৭ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।