ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জোট সরকারের আমলে পুলিশি নির্যাতন

মুনতাসীর মামুনকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

ঢাকা: পুলিশি নির্যাতনের শিকার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এ শিক্ষক পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন।



বৃহস্পতিবার তিন মাসের সময় দিয়ে বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

মুনতাসীর মামুন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে এ রিট আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এর শুনানি শেষ হয়।

একইসঙ্গে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বর্তমান অবস্থান সোমবারের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ দু’জনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এরপর একই বছর ৮ সেপ্টেম্বর শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ এনে এবং এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তারা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ডিসেম্বর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এরপর শাহরিয়ার কবিরকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ২০০৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালত আরও একটি সম্পূরক রুল জারি করেছিলেন। আর আজ বৃহস্পতিবার একই ধরনের রুল জারি করলেন মুনতাসীর মামুনের বেলায়।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।