ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীতে টেন্ডারবাজি : ছাত্রলীগের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
রাজধানীতে টেন্ডারবাজি : ছাত্রলীগের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত

ঢাকা : টেন্ডারবাজির ঘটনায় রাজধানীতে ছাত্রলীগের হামলায় এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম ইউসুফ আলী সর্দার (২৫)।

তার বাসা নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডে। তিনি মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। নিহতের সুজান (৫) ও সুরাজ (৩) নামে দু’টি ছেলেশিশু রয়েছে।

নিহত ইউসুফ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ।

রমনা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শিবলী নোমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে মগবাজারের রেড ক্রিসেন্ট অফিসে একটি টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজন রাত নয়টায় মারা যায়। ’

রমনা থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুপুর বারোটায় রেড ক্রিসেন্টে মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের একটি টেন্ডার দাখিলের সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জমায়েত হয়। টেন্ডার দাখিলের পরে সাড়ে বারোটায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইউসুফকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি এবং রড দিয়ে পেটাতে থাকে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান ইউসুফ। ’

গুরুতর আহত ইউসুফকে প্রথমে হলিফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত নয়টার দিকে মারা যান ইউসুফ।

এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

৫৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ‘নয়াটোলার ছাত্রলীগ নেতা আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারাই ইউসুফকে হত্যা করেছে। ’

নিহতের ভাইয়ের ছেলে সৈয়দ ইরফান আলী বলেন, ‘সকালে রেড ক্রিসেন্টের একটি টেন্ডার জমা দিতে যান চাচা। এ সময় প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে চাচা রমনা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ’

পরে থানা থেকে বেরিয়ে আসলে থানার ২০ গজ দূরেই ইউসুফকে ছাত্রলীগের ছেলেরা মারধোর করে বলে অভিযোগ করেন ইরফান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রমনা জোনের এসি মোনালিসা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ ইউসুফের মামলা নেওয়া হয়েছে। আর মারধোরের ঘটনা থানার ২০ গজ দূরে ঘটেনি, ঘটেছে টঙ্গি ডাইভারশন রোডের কাছে। ”
 
এদিকে রাত সাড়ে নয়টায় নিহতের লাশ দিলু রোডের নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে উত্তেজিত যুবলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা লাশ নিয়ে নয়াটোলার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহতের বাড়ির সামনে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

রাত সাড়ে এগারোটার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময় : ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।