কুড়িগ্রাম: রেড এলার্ট তুলে নেওয়ার পর কুড়িগ্রামে একজন অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তের নাম শিউলি বেগম (২৫)।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিকভাবে তাকে অ্যানথ্রাক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের গঠন করা ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড।
এ ঘটনায় জেলার সব স্বাস্থ্যকর্মীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অ্যানথ্রাক্স বিষয়ে জারি করা রেড এলার্ট প্রত্যাহার করা হয়।
কুড়িগ্রামের স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা শিউলি বেগম গত সোমবার পায়ে ঘা নিয়ে উমর মজিদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বেলাল হোসেন তাকে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত সন্দেহ করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা আরও পরীার জন্য বুধবার তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠান।
তাৎণিকভাবে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তিন চিকিৎসককে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন সিভিল সার্জন। এ বোর্ডের সদস্য হন মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. বিডি বিধু, একই বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অজয় কুমার ও গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবা খানম কনা।
পরীা-নিরীা শেষে বৃহষ্পতিবার সকালে শিউলিকে অ্যানথ্রাক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত করে মেডিকেল বোর্ড।
ডা. অজয় কুমার বাংলা নিউজকে জানান, রোগী আশঙ্কামুক্ত, তবে গর্ভবতী হওয়ায় তাকে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত শিউলি বেগম বাংলানিউজকে জানান, ঈদের সময় তার রিকশাচালক স্বামী চট্রগ্রাম থেকে এসে রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাট বাজার থেকে আধাকেজি গরুর মাংস কিনে আনেন। এই মাংস খাওয়ার পর আর কোন মাংস তারা খাননি। ১০ দিন আগে হঠাৎ পায়ে চুলকানি শুরু হয়। এক সময় ঘা দেখা দেয় পায়ে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েও তা সারানো সম্ভব হয়নি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে অ্যানথ্রাক্স রোগ শনাক্ত হওবার পর সারা জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০