ঢাকা : দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দাহ্য কেমিকেল (রাসায়নিক) কারখানা ও গুদাম অপসারণে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কেমিকেল গুদাম পরিচালনার লাইসেন্স না থাকায়এদিন তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট নয় লাখ টাকা জারিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের দ্বিতীয় দফা অভিযানের মধ্যেই রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় বুধবার এক কেমিকেল কারাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নয় জন প্রাণ হারান।
দুপুর ১২টার দিকে পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডে অভিযান শুরু করেন ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আল-আমীনের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় দমকল বাহিনী ও রাবের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে আদালত এইচআর কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স না থাকার জন্য পাঁচ লাখ টাকা জারিমানা করেন। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে গুদাম সরিয়ে নেওয়ার জন্য মুচলেকা নেন। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ড্রাম দাহ্য কেমিকেল মজুদ আছে।
এরপর আদালত বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেমি কালারস ও এসকে ট্রেডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গুদাম অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আল-আমীন বলেন, ‘অনেকেই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কেমিকেল কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নিয়েছে। দাহ্য কেমিকেল (রাসায়নিক) কারখানা ও গুদাম অপসারণের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। ’
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর পুরান ঢাকার দাহ্য কেমিকেল (রাসায়নিক) কারখানা ও গুদাম অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত রোববার অভিযান শুরু করে। প্রথম দিনের অভিযানে আদালত অগ্নিনির্বাপন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় লালবাগে দুটি গুদামের তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া লাইসেন্স ও সংশ্লিষ্ট লোকজন না থাকায় সিলগালা করে দেওয়া হয় একটি গুদাম।
তবে সেদিন অভিযানে দমকল বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যে সমন্বয় ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০