ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০০৬-০৭ ও ২০০৭-৮ শিক্ষাবর্ষের দুই ব্যাচ শিক্ষার্থী বর্তমানে একই সেমিস্টারে পড়ছেন। ফল প্রকাশে বিলম্ব, সময়মত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়া, সেমিস্টার পদ্ধতিতে জটিলতা প্রভৃতি বিষয়কে এজন্য দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের পরের বর্ষের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করে এখন ৫ম সেমিস্টারের কাস শুরু করেছে। কিন্তু প্রায় চার মাস আগে কাস শেষ হলেও তাদের সেমিস্টার পরীক্ষা হয়নি। তাই দুটি ব্যাচই এখন ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে বিভাগীয় শিক্ষকদেরও কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
শিক্ষর্থীরা আরও জানান, বিভিন্ন সেমিস্টারে অকৃতকার্যদের জন্য শর্ট সেমিস্টারের ধারণা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক। কিন্তু নিয়মিতদের পরীক্ষা কেন সময়মত হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেশন জট কমাতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনটি ব্যাচই যেন নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষামুলক ব্যাচ।
৫ম সেমিস্টারে দুই ব্যাচ প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. আজম খান বলেন, ‘শর্ট সেমিস্টার এবং এফ গ্রেডের পরীক্ষা নিতে দেরি হওয়ায় আমরা যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে পারছিনা।
ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের চার মাস আগে কাস শেষ হওয়ার পরও কেন শর্ট কোর্সের পরীক্ষা হয়নি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, শর্ট সেমিস্টারের কারণে কয়েকটি বিভাগে সমস্যা হচ্ছে। জট কমানোর জন্য চেষ্টা চলছে।
এক সেমিস্টারে দুই ব্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের ব্যাচের পরীক্ষা না নিতে পারায় এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ৭ অক্টোবর ২০১০