ঢাকা : ২০১৫ সালের মধ্যে সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত এবং আন্তর্জাতিক সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২ বাস্তবায়নে আগামী মাসে ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ও জাতিসংঘের মিলিনিয়াম ক্যাম্পেইন- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘২০১৫ সাল নাগাদ সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২) অর্জন, বাস্তবতা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নূন্যতম ৪ জন করে শিক্ষক দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিশুদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করা। এক্ষেত্রে দরকার সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ। ’
লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে এবছরের বাজেট বরাদ্দ (৮ হাজার কোটি টাকা) অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেন তিনি। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যেও মন্ত্রণালয় বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব শিশুজরিপ অনুযায়ী গত দশ বছরে বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরেপড়া শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ। আর ২০১৫ সালে বাংলাদেশে শিক্ষার বাইরে থাকবে প্রায় ১২ লাখ শিশু। আর তাই সার্বজনীন শিক্ষার এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমাতে হলে শিশুবান্ধব স্কুল, বই লাগবে । সেইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা। হরতাল, ধর্মঘটে শুধু শিল্পেরই ক্ষতি হয় না, স্বাভাবিক শিক্ষাও ব্যাহত হয়। ’
তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়ঃ ১৯৫৪ ঘন্টা, ২৮ জুন ২০১০
আরএসএ/এএইচএস/জেএম