ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে আদমশুমারি অপরিহার্য: একে খন্দকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে আদমশুমারি অপরিহার্য: একে খন্দকার

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার বীর উত্তম বলেছেন, ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আদমশুমারি অপরিহার্য। ’

বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশন মিলনায়তনে গণমাধ্যম প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।



২০১১ সালের মার্চে অনুষ্ঠেয় ৫ম আদমশুমারি’র প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রধানরা অংশ নেন।

একে খন্দকার বলেন, ‘জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন, চাকরি ক্ষেত্রে কোটা নির্ধারণ এবং অন্যান্য শুমারি ও জরিপের ফ্রেম প্রণয়নে আদমশুমারি অপরিহার্য। ’

উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য তথ্য ভাণ্ডার তৈরিতে আদমশুমারির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শুমারির সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নির্ভর করে তথ্য সংগ্রহকারী, উত্তরদাতা ও আপামর জনসাধারণের ঐকান্তিক ইচ্ছার উপর। ’

এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আদমশুমারি সংক্রান্ত প্রচার অভিযানের প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে গণমাধ্যমে প্রচারের পরামর্শ দেন।

দৈনিক প্রথমআলো সাংবাদিক আশিষ সৈকত ও চ্যানেল আই এর প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুল আলম সাচ্চু ‘আদমশুমারি’ শব্দের ‘আদম’ বাদ দিয়ে অন্য কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ জানান।

১৬ ডিসেম্বর ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি’র মতো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আদমশুমারি নিয়ে প্রচারাভিযানের পরামর্শও দেন তারা।

দৈনিক যায়যায়দিন সাংবাদিক এইচ মামুন আগামী ঈদুল আজহায় ঈমামদের আদমশুমারির প্রচারাভিযানে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।

গণমাধ্যম প্রধানদের পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহীম।

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সহযোগিতা নিয়েই সরকার এ বিশাল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। ’

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান আলী মোল্লা।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী আদমশুমারি পরিচালনা করা হবে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ কোটি টাকা। এ টাকার সিংহভাগ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে আরও তিনটি আদমশুমারি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad