ঢাকা : জ্বালানি তেল পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল করিম।
অতি সম্প্রতি ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল করিম টেলিফোনে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে জানান, গত ২৬ জুন ভারতে জ্বালানি তেল, বিশেষ করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানো। এর ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দিয়ে তেল পাচার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, জ্বালানি তেল সরবরাহ ও বিক্রয় কার্যক্রমে নজরদারি বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কর্তৃক জ্বালানি তেলের অবৈধ মজুদ গড়ে তোলার চেষ্টাসহ সীমান্ত পথে জ্বালানি তেল পাচারের চেষ্টা হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তেল বিপনন কোম্পানি সমূহের বিভিন্ন তেল ডিপো/বিক্রয় কেন্দ্রসমূহে জ্বালানি তেলের বিক্রয়/উত্তোলন স্বাভাবিক পর্যায়ের চেয়ে বাড়তে পারে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, জাতীয় স্বার্থে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রয় অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়ে, সীমান্তপথে চোরাচালান/পাচার এবং অবৈধ মজুদ গড়ে তোলার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হতে পারে। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ পুলিশি নজরদারি জোরদার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জ্বালানি তেলের পাচাররোধে মাঠ পর্যায়ে তেল বিপনন কোম্পানির কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন ভারতে পেট্রোলের দাম সাড়ে ৩ রুপি বাড়িয়ে ৫১.৪৩ রুপি এবং ডিজেলের দাম দুই রুপি বাড়িয়ে ৪০.১০ রুপি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯২৫ ঘণ্টা, ২৮ জুন ২০১০।
এইচএ/এএইচএস/জেএম