ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না মানার অভিযোগে সিভিল সার্জনকে ‘এ নিয়োগ কেন বাতিল হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন ঝিনাইদহের একটি আদালত। একইসঙ্গে তাকে তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার অভিযোগের শুনানি শেষে ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক বুশরা সাইয়েদা এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা উপক্ষা করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের ছেলে এমএলএসএস পদপ্রার্থী লিটু বিশ্বাস গত মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুযায়ী এমএলএসএস পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাদী।
আদালত শুনানি শেষে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেন।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘আদালতের আদেশ বুধবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। ’
আগামী রোববার শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. কেরামত আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আদালতেই নিষ্পত্তি করা হবে। ’
বাদীপে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আকবর আলী।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদে ৯টি সহ ৪১টি পদে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ নিয়ে গত ১ সপ্তাহ ধরে চাকরী বঞ্চিত ও হরিজন সম্প্রদায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের বাসায় হামলা, ভাংচুর, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০