ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে, রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে, রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার

ঢাকা: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি জারিকৃত রেড অ্যালার্ট তুলে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেড অ্যালার্ট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন।



দেশের সার্বিক অ্যানথ্রাক্স পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স রোগ এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ১৮ সেপ্টেম্বরের পর আর কোনও আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘জনমনে আস্থা ধরে রাখা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি এ রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জনগণের কাছে বিচ্ছিন্নভাবে এর ভুল ব্যাখ্যা প্রচারিত হয়েছে। এ কারণে অনেকেই মাংস ও দুধ খাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। এতে উৎপাদক খামারি, বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ আমিষগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন, যা দেশের অর্থনীতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ’

ভুল ব্যাখ্যা প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

তিনি বলেন, ‘এটা ভীতিকর কোনো রোগ নয়। তবে অন্যান্য বছর এ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে ষড়যন্ত্র হয়নি। এবার হয়েছে। মুরগির দাম বাড়ানো হয়েছে। ’

যড়যন্ত্রকারী মুরগির খামারীদের চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান মন্ত্রী।

একই সঙ্গে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পশুর মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘এ রোগ মোকাবেলায় ৮ জেলার ১৮টি উপজেলার ২৫ লাখ গবাদিপশুকে টিকা দিয়েছে সরকার। ঈদের এক মাস আগেই এসব উপজেলার সব গরু-ছাগলকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হবে। ’

তিনি জানান, চলতি বছর এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্স রোগে সারাদেশে আক্রান্ত ১০৪টি গরুর মধ্যে মারা গেছে ৩৭টি। এছাড়া অসুস্থ হওয়ার পর ১১টি গরু জবাই করা হলেও সেই মাংস উদ্ধার করা গেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘২০০৮ সালে ৪৩৭টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। মারা যায় ১৫৬টি। ২০০৯ সালে আক্রান্ত ৪৪৯টি গরুর মধ্যে মারা যায় ১১৪টি। ’

গত বছরের চেয়েও এ বছর আক্রান্ত ও মৃত গরুর সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও মিডিয়ার প্রচারণায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ে ‘নেতিবাচক প্রচারণার’ উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গরু, ছাগল, হাঁস, পাখিদেরও অ্যানথ্রাক্স হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু মুরগিতে অ্যানথ্রাক্স আক্রমণ হয়েছে এমন কথা বলা হয়নি। ’

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাভারে মৃত দু’টি ছাগলের মুত্যুর কারণ অ্যানথ্রাক্স নয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওই ছাগল দু’টি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ