ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মায়ের সামনেই খুন হয় সামিউল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১০

ঢাকা: অবৈধ সম্পর্কের বিষয় জেনে ফেলায় মা আয়েশা এবং তার প্রেমিক আরিফ শিশু সামিউলকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরে মায়ের সামনেই গলাটিপে হত্যা করা হয় তার সন্তানকে।

শুধু তাই নয়, এরপর তারা দু’জনে মিলে মৃতদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। পরে সুযোগ বুঝে পাশের প্লটে ফেলে দেন।

র‌্যাব সদরদপ্তরে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে সামিউল আজিমকে হত্যার কথা এভাবেই বর্ণনা করেছেন প্রেমিক সামসুজ্জামান ওরফে আরিফ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত র‌্যাবে’র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জানান, র‌্যাবের  ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের একটি বিশেষ দল রোববার রাত ১টার দিকে টঙ্গীর পূবাইলে প্রধান হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মো. সামসুজ্জামান ওরফে আরিফকে (৩৯) তার ভায়রার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারই ছোট ভাই মো. নূরুজ্জামান ওরফে নূরুকে ভোর ছয়টার দিকে বাড্ডা থানাধীন নতুন বাজার এলাকা  থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরিফ জানান, তার ও আয়েশার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি শিশু সামিউল জেনে ফেলায় তারা দুজনেই তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। পরে আয়েশার সামনেই আরিফের ভাই নূরুজ্জামান সামিউলকে গলাটিপে হত্যা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আরিফ ১৯৯১ সালে প্রথম বিয়ে করেন। ওই ঘরে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০২ সালে আরিফ অবৈধ সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিউটিশিয়ান সাথীকে (২৮) বিয়ে করেন। সাথীকে নিয়ে তিনি নবোদয় হাউজিং-এ ৬নং রোডের, ১০নং বাসায় থাকতেন। ২য় স্ত্রীর ঘরেও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানায়, ২০০৪ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী ‘শ্রাবন্তী বিউটি পারলার’ নামে একটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করেন। ওই বিউটি পার্লারে সামিউল এর মা আয়েশা মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। এর সুবাদে সাথীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সাথী  ২০০৭ সালে আয়েশার কাছ থেকে একলাখ টাকা ধার নিয়ে তাকে দেন। দুইমাস পরে বিশ হাজার টাকা লাভসহ আয়েশাকে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের শেষের দিকে মোবাইল ফোনে আয়েশার সঙ্গে আরিফের কথা শুরু হয়।   পরবর্তীতে আরিফ আয়েশার বাড়িতে আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

র‌্যাব জানিয়েছে, আরিফ গত ১৯ জুন শনিবার রাতে আয়েশার সঙ্গে তার বাসায় রাত কাটান। পরদিন তিনি চলে যান। এ সময় আরিফের রাত কাটানোর বিষয়টি জেনে যায় সামিউল। এরপর বিকাল থেকেই সে নিখোঁজ হয়। পরে গত ২৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে আদাবর থানা পুলিশ তার লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় নবোদয় হাউজিংয়ে তাদের বাসার কাছে একটি ফাঁকা প্লট থেকে উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮০৩ ঘন্টা, জুন ২৮, ২০১০
এমএইচকিউ/কেএল/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।