ঢাকা: রাজধানীর শনিরআখড়ায় শারমিন আক্তার (১৮) নামে এক কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)ষ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে আল-আমিন নামে এক যুবক মৌখিকভাবে বিয়ের পর কাবিননামা করতে না চাওয়ায় অভিমান করে শারমিন বিষপান করেছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোলাপাড়া গ্রামের শাহিদুল ইসলামের মেয়ে শারমিন। পরিবারের সঙ্গে শনিরআখড়ার আনন্দবাজার এলাকার পারুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
হাসপাতালে তার বড় ভাই মো. সুমন মিয়া জানান, এলাকার একটি মাদরাসায় পড়তো শারমিন। সম্প্রতি পড়ালেখা বাদ দিয়েছিল সে। এলাকাতেই টিউশনি করতো। আজ (১৪ জুন) বিকেলে বাসা থেকে বাইরে বের হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই, বাসার পাশেই রাস্তায় পড়ে আছে শারমিন, কীটনাশক পান করেছে সে। খবর পাওয়ার পর পরই তারা রাস্তা থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় দেশবাংলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মাসখানেক আগে শনিরআখড়ার পাটেরবাগ এলাকার একটি মসজিদের খাদেম আলামিন শারমিনকে প্রেমের সম্পর্কে কুমিল্লায় নিয়ে মৌখিকভাবে বিয়ে করে। পরে শারমিন বাসায় ফিরে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন শারমিনের পরিবার আলামিনকে ডেকে বিয়ের কাবিননামা করতে বলে। সেজন্য আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয় তাকে। তবে আলামিন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেজন্যই শারমিন রাগে, অভিমানে কীটনাশক পান করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত আল-আমিন জানান, সন্ধ্যার আগে শারমিন তার সঙ্গে দেখা করতে আনন্দবাজারের একটি গলিতে যায়। সেখানে তারা বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বলেন। কাবিননামা করার জন্য আরও কিছুদিন সময় চান। তবে তাতেও তার পরিবার রাজি হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই বলে শারমিনকে জানান। এরপর সেখান থেকে যে যার মত চলে আসার কিছুক্ষণ পর খবর পান, কীটনাশক পান করেছে শারমিন। তখন রাস্তা থেকে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যান।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল-আমিনকে (১৯) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড