ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

ঢাকা: রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

মৃতরা হলেন, মা মাহমুদা হক বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের স্বামী সেলিমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ জুন) বাড্ডা থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৩) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরাজি হাসপাতাল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছাদেক মিয়া জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ফরাজী হাসপাতালে যায়। সেখানে ওই মা-মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। বাসা থেকে তার স্বামী ও স্বজনরা তাদের ওই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় সন্দেহ হলে সেখান থেকেই স্বামী সেলিমকে আটক করা হয়। মা-মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টির মামা সোহেল সিকদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের ৮ম তলায় থাকতেন তারা। এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি।

তিনি অভিযোগ করেন, রাত আনুমানিক ২টার দিকে সেলিম বৃষ্টির গ্রামের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন, বৃষ্টি ও তার মেয়ের অবস্থা ভালো না। তখন গ্রাম থেকে ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়। ওই বাসায় গিয়ে বৃষ্টিকে এক রুমে এবং পাশের রুমে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এসময় বাসায় ছিলেন সেলিম। ৯ মাসের ছেলে সারিন ছিল প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়ার কোলে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও সানজাকে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যাই।

বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগ, সেলিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একাধিকবার একাধিক মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। তার জের ধরেই সেলিম তাদের দুইজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এজেডএস/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।