ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠানের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণের বাধ্যবাধকতার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত সংশোধনী এনে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) বিল ২০১০ পাস হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করার পর তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
এর আগে গত সোমবার তিনি বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেন। তখন স্পিকার এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য একদিনের সময় দিয়ে তা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান। সোমবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
বিলটির ৫ নম্বর ধারায় সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলা হয়, সর্বশেষ আদমশুমারির ভিত্তিতে ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশি হলে অগণিত গ্রাম, মৌজা ভাঙা-গড়ার প্রয়োজন হবে। যা এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
বিলটিতে সংশোধনী আনার কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, এক ওয়ার্ড হতে অন্য ওয়ার্ডের লোকসংখ্যার পার্থক্য ১০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হলে অনেকগুলো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সংশোধনীতে সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে বলা হয়, নির্বাচন উপযোগী সব ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড নতুন করে বিভক্তির প্রয়োজন পড়বে। এ জন্য যথেষ্ট সময় প্রয়োজন। তখন নির্বাচন অনুষ্ঠান আরো বিলম্ব হবে।
বিল সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণে আরও বলা হয়, বাস্তবতা ও কোনো এলাকার ভৌগলিক সম্পৃক্ততা বা অখণ্ডতার বিষয় উপলব্ধি করে অনেক ক্ষেত্রেই একটি ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্য ওয়ার্ডের জনসংখ্যার পার্থক্য ১০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে না। ফলে ১০ শতাংশের কম বা বেশি লোকসংখ্যার কারণে, যে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলা করতে পারেন। যার কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালে এগুলোর মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সীমানা সংক্রান্ত আইনের জটিলতার কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। সংশোধিত আকারে বিলটি সংসদে পাস হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হলো।
বাংলাদেশ সময় ১৭.০০ ঘন্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০