ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাজিকরদের কারণে মানুষ দিশেহারা: বিচারপতি হবিবুর রহমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০

ঢাকা: দেশ এখন বাজিকরদের হাতে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ভর্তিবাজি, নিয়োগবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদির কারণে দেশের লোক দিশেহারা বলেও মনে করেন তিনি।



বুধবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজের (আইজিএস) ‘দ্য স্টেট অব গর্ভনেন্স ইন বাংলাদেশ ২০০৯’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সকাল সাড়ে দশটায় জার্নালিজম ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (যাত্রী) সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানে চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য তিন লাখ টাকা গুণতে হয় সেখানে মেধাভিত্তিক প্রশাসন কিভাবে গড়ে উঠবে। পরিবারতন্ত্র নিয়েও ইতিমধ্যে নানাজনে সাতকাহন গেয়েছেন। আমাদের দ্বিতীয় আনুগত্য পাড়াগত বা অঞ্চলের প্রতি। ‘

তিনি বলেন, ‘গত ৪০ বছরে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়া সরকারের আমলগুলো সুখকর হয়নি। ’

সাবেক এ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নানা ধরনের সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। নির্বাচন কমিশনের এসব সুপারিশ আমলে নেয়নি রাজনৈতিক দলগুলো। এর জন্য কমিশন নিজেও অনেকটা দায়ী। কমিশনের কারণেই নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাগুলোর সুরাহা হয় না। বরং নির্বাচন কমিশনকেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হেনস্থা হতে হয়। ’

বাংলাদেশের শাসন পরিস্থিতির উপর প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে জ্বালানি সঙ্কট, খাদ্য নিরাপত্তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসন বিষয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘সুসংগঠন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এ জন্যই আইজিএস এই প্রকাশনা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ’

আইজিএসের পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বলেন, ‘দেশে ভালো আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। এর জন্য প্রয়োজন কার্যকরী রেগুলেটরি কমিটি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য এবং জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন, ৫ বছর মেয়াদি নয়। ’

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে যাত্রী প্রধান জামিল আহমেদ যাত্রী ফেলোশিপ ঘোষণা করেন। ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হলেন শাহনাজ মুন্নী (এটিএন বাংলা), সুলতানা রহমান (এনটিভি), শামীমা বিনতে রহমান (দেশটিভি), মিজানুর রহমান (জনকণ্ঠ), আজিজুল ইসলাম (ডেসটিনি), মাহমুদ মনি (দৈনিক আজাদী), শাহনাজ শারমিন (এবিসি রেডিও) এবং তাসলিমা সাদিক (প্রবাসী ভয়েস.কম)।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিবেদনটির সম্পাদক শেহেরীন আলী এবং প্রোগ্রাম প্রধান ক্রিস্টিনা রোজারিও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আইজিএসের ‘দ্য স্টেট অব গর্ভনেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এটি চতুর্থ গবেষণা প্রতিবেদন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।