ঢাকা: মতিঝিল এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা ছিল হুন্ডির । পুলিশ এ ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত।
এদিকে, ইউনুসের পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনার সময় টাকার ব্যাগ বহনকারী কর্মচারী রানাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মতিঝিল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শহীদুল হক জানান, টাকা উদ্ধার এবং রহস্য উদঘাটনে সাদা পোশাকে পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে নেমেছে। আহত ইউনুস ও তার কর্মচারী মুন্নার মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ওসি জানান বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তারা তদন্ত করছেন।
‘টাকার ব্যাগ রানার হাতে থাকা সত্ত্বেও ছিনতাইকারীরা কেন ইউনুসকে লক্ষ্য করে গুলি করলো, ছিনতাইকারীদের দেখে রানা কেন পালিয়ে গেল না- এ ধরনের আরও বিভিন্ন প্রশ্ন ঘটনার রহস্যে জট পাকিয়ে তুলছে’, বলেন শহীদুল হক।
পুলিশ আশা করছে, এ সব প্রশ্নের সামাধান পাওয়া গেলেই বিষয়টির মীমাংসা করা সহজ হবে।
শহীদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী ইউনুসের জবানবন্দি যাচাই করে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। রাতে আটক রানার বাসায় টাকা উদ্ধারের জন্য দুই দফা তল্লাশি চালানো হলেও কোন টাকা উদ্ধার করা যায়নি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ইউনুস টাকার উৎস সম্পর্কে পুলিশকে একেকবার একেক তথ্য দিচ্ছে যার কোনটিরই সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পুলিশ মোটামোটি নিশ্চিত যে ইউনুস হুণ্ডি ব্যবসায়ী এবং টাকাগুলো ছিল হুণ্ডির। ’
ইউনুসের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য এরইমধ্যে প্রাইম ব্যাংকে বলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওদিকে, এ ঘটনায় আহত ইউনুসের ভাই বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০।