ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নদী দখলমুক্ত করার রায় বাস্তবায়নে আরও ৬ মাস সময় পেল সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০
নদী দখলমুক্ত করার রায় বাস্তবায়নে আরও ৬ মাস সময় পেল সরকার

ঢাকা: ঢাকার চার নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের নদীগুলোতে উচ্ছেদ অভিযানে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিফলন সম্পর্কে প্রতি তিনমাস পরপর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মঙ্গলবার দুই বছর সময় চেয়ে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আদালত ছয় মাসের সময় মঞ্জুর করেছেন।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় সরকারপক্ষে অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও বাদীপক্ষে পরিবেশকর্মী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার পক্ষ দাবি করেছে এত বড় চারটি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অনেক বড় কাজ। অনেক লোকবলের দরকার। এছাড়া আরও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কারণে তারা সময় চেয়েছেন। তাই আদালত তাদের ছয় মাস সময় দিয়েছেন। ’

তিনি জানান, আদালতের আগের দেওয়া রায় অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হতো। বুধবার আদালত আরও ছয় মাস সময় বাড়ানোর ফলে সরকার ৩১ মে পর্যন্ত সময় পাবে।

এ সময়ের মধ্যে চারটি জেলার জেলা প্রশাসককে প্রতি তিনমাস পরপর আদালতের রায়ের প্রতিফলন জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।

আবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার তীরবর্তী চারটি নদীতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-উন্নয়ন কতৃপক্ষের (বিআইডবিউটিএ) অনুমোদিত জেটি রয়েছে। এসব জেটির মাধ্যমে ঢাকায় পণ্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিকল্প সৃষ্টি না করে জেটিগুলো উচ্ছেদ করা হলে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। এতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাবে। জেটিগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও বেকার হয়ে যাবে। এসব দিক বিবেচনায় রায়টি সংশোধন প্রয়োজন।

একইসঙ্গে রায় বাস্তবায়নের জন্য আরও দুই বছর সময় প্রয়োজন বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সরকারপক্ষের এ আবেদনের বিরোধিতা করেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।

ঢাকার তীরবর্তী চারটি নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্মা, বালু ও তুরাগ নদী অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। ২০০৯ সালের ২৪ মে হাইকোর্ট এ নিয়ে রুল জারি করে। ২০০৯ সালের ২৫ জুন এ রিটের রায় দেন হাইকোর্ট। এতে চার নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

পরে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে কয়েকটি কোম্পানি রায় পনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করে। অবশ্য হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওই সব কোম্পানি লিভ টু আপিল দায়ের করলে আপিল বিভাগ ওই আপিলও খারিজ করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।