ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুরে বইছে মাঝারি তাপদাহ, জনজীবনে নাভিশ্বাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
মেহেরপুরে বইছে মাঝারি তাপদাহ, জনজীবনে নাভিশ্বাস

মেহেরপুর: গত কয়েক দিনে মেহেরপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।

সকাল থেকেই তাপ ছাড়াচ্ছে সূর্য এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোদের তীব্রতা, বাড়ে তাপমাত্রাও। রোদের তেজ এতটাই যে, ঘরের বাইরে পা ফেলা দায়। নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে।

তাপদাহের সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। পথে বের হলেই শরীর পুড়িয়ে দিচ্ছে রোদের তেজ। এতে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ জুন) বেলা ১২টার দিকে এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯ শতাংশ।

এদিকে, টানা কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ও মেহেরপুরে। বুধবার (৩১ মে) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমন তাপপ্রবাহ চলবে অন্তত এক সপ্তাহ। সাতদিন পরে তাপপ্রবাহ কমলেও বৃষ্টির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।

চলমান তাপদাহে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষকে। জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড রৌদ্রের খরতাপ উপেক্ষা করেই কাজে নেমে পড়ছেন এসব নিম্ন আয়ের মানুষ।

এদিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, গত তিন দিনে ডায়রিয়াজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ বলেন, বর্তমানে যে তাপমাত্রা বিরাজমান, তাতে হিটস্ট্রোক হতে পারে। সেই জন্য প্রতিটি মানুষকে ঠাণ্ডা ও ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ঠাণ্ডা ঘরে রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।