ঢাকা : সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক একটি ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলন। সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৫৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।
রাজধানীর জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী এবং সভাপতিত্ব করেন লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
অধ্যাপক গণেশ সরেন সভায় ‘সমতল আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজংকে এবছর ‘সিঁধু-কানু’ পদক প্রদান করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল (অব:) শওকত আলী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরদ্ধে লড়াই করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর ‘বাঙ্গালিত্ব’ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত তাদের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে এবং তাদের ভূমির অধিকার একটি গোলক ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে। তাদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে পাহাড়ের মতো সমতলেও একটি পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা দরকার, যদিও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি কমিশন বিতর্কিত অবস্থায় আছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং অধ্যাপক ডালিম চন্দ্র বর্মণ।
১৮৫৫ সালে দুই ভাই সিঁধু ও কানুর নেতৃত্বে সাঁওতালরা ব্রিটিশদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। বিদ্রোহের এক পর্যায়ে ৩০ জুন দুই সহোদরকে নির্মমভাবে হত্যা করে ব্রিটিশ বাহিনী। প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘন্টা, জুন ২৮, ২০১০
আরটি/এএইচএস/জেএম