ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শুভ মহালয়া বৃহস্পতিবার

বিপ্লব কুমার পাল ও তুহিন শুভ্র অধিকারী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০
শুভ মহালয়া বৃহস্পতিবার

ঢাকা: শুভ মহালয়া বৃহস্পতিবার। এদিন বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর আগে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে শ্রীশ্রী দুর্গা দেবীকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।



মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেবীর আরাধনা সুচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। মহালয়ার দিন থেকেই দুর্গাপূজার সময় গণনা শুরু হয়। দেবীপরে শুরু মহালয়া থেকে।

রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক স্বামী স্থিরাত্মানন্দজী মহারাজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুরুর আগের অমবস্যা তিথিকে বলা হয় মহলয়া। এ তিথীতে পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবী পক্ষের শুরু হয়। এ দিন থেকেই মূলত পূজা শুরু। ’

তিনি আরও বলেন, ‘মহলয়ার সময় দান করলে পিতৃপুরুষরা তৃপ্ত হন। তাই এ অনুষ্ঠানকে বলা হয় তর্পন। মহালয়ার আগের পক্ষকালে চলে তর্পনানুষ্ঠান। তবে মহালয়া শেষ তিথি হওয়ায় বিশেষভাবে পালন করা হয়। এসময় পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় তিল, জল এবং পিণ্ড দান করা হয়।

মহালয়ার ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ আগামী ১৩ অক্টোবর বুধবার থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে পাঁচদিনের দুর্গোৎসব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুরহিত সাধন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায় (পালকি) এবং গমন গজে (হাতি)।   দোলায় আগমনের মানে হচ্ছে রোগ-শোক বৃদ্ধি পাবে আর গজে গমনের মানে হলো শষ্য-শ্যামলে পূর্ণ হবে ধরণী।

পুরাণমতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তকালে তিনি এ পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে দেবীর পূজা করেছিলেন। এ জন্য শরৎকালের এই পূজাকে হিন্দুমতে অকালবোধনও বলা হয়।

দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আগামী ১৩ অক্টোবর বুধবার ষষ্ঠীপূজার দিনে দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার মহানবমীর দিন সকালে কুমারীপূজা ও বিকেলে সদ্ধিপূজা। ১৬ অক্টোবর শনিবার মহানবমী। ১৭অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশে এবার ২৭ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার বেশি।

সারাদেশের পূজায় র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।

এছাড়া রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। সেখান থেকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।