ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মো. হারুন শেখ (৩৩) নামে যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।  

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

হারুন শেখ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আলফাডাঙ্গার পাচুড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটের পাশে স্লাবের উপর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে চড় থাপ্পর মেরে ও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে হারুণ। পরে ধর্ষণের এই দৃশ্য তিনি মুঠোফোনে ধারণ করে শিশুটিকে হুমকি দিয়ে বলেন, এ  ঘটনার কথা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফির অভিযোগে মো. হারুন শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম। পরে একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান ২০২১ সালের ২৮ জুন আদালতে হারুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় এ রায় প্রদান করা হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা শিশুটিকে দেওয়া হবে।  

তিনি আরও জানান, এ রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।