ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাভারে ওমর আলী হত্যায় ৭ আসামি বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১০

ঢাকা: ঢাকায় মঙ্গলবার আদালত ১৯৯০ সালে সাভারের জিঞ্জিরায় চাঞ্চল্যকর ওমর আলী হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

দণ্ডিত ৭ আসামির মধ্যে ৫ জনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১০ বছর ও অপর এক আসামিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।



এছাড়া অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান খাঁন মঙ্গলবার দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় খুন করার অপরাধে এ রায় প্রদান করেন।

বিচারে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রফিক,  পিতা- হাফিজ উদ্দিন, কুদ্দুস খান, শাহাবুদ্দিন মোল্লা, তারু মিয়া ও নুরুল ইসলাম। রায়ে দণ্ডের অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এ মামলায় রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আমজাদ, দানেশ আলী, আমির, আফাজ উদ্দিন, হারিছ, সেলিম, কাদের, আ. কুদ্দুস, আক্কাস, আকবর, জয়ধর, মাইন উদ্দিন, ওমর আলি, রফিক (২), জাফর, কামাল, সামসুদ্দিন, নজরুল, হাকিম, হাশেম, আজাহার, শুকুর, বাবুল (পলাতক), সেরজুত আলী, চান খান ও রায়হান (পলাতক)।

মামলার এজাহার হতে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট সাভারের জিঞ্জিরায় বাদীর বাসায় মহরমের পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শিরনি ও ইফতারির আয়োজন চলাকালীন আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে বাঁশের লাঠি, বল্লম, টেটা, শাবল, দা, কুড়াল নিয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আসামিরা বাড়ির চারদিক ঘিরে রাখে।

হামলার সময় বাদী তার পরিবারসহ ঘরের ভেতর আত্মগোপন করলে সেখানেও তারা দা-কুড়াল দিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এরপর আসামিরা বাদীর উত্তর ভিটার টিনের ঘর সংলগ্ন দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

বাদীর মা শুকুরজান এসময় ঘর থেকে বের হয়ে এসে আসামিদের কাছে বাদী সহ তার পরিবারের জীবন ভিক্ষা চাইলে তাকেও আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এরপর বাদীর ভাগিনা ওমর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে দা টেটা দিয়া কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর আসামিরা ওমর আলীর হাত-পা কেটে দেহ হতে আলাদা করে পাশের পতিত জমিতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের মামা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে এদিনই ৩৫ জনকে আসামি করে সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মামা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে এ দিনই ৩৫ জনকে আসামি

মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর আদালতে নিহতের মা গোলাপজান, বোন নারগিস ও বড়ভাই আব্দুল গণি রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘তারা এ রায় খুশি নন। রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। ’

অন্যদিকে, রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা সস্তুষ্ট হলেও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি শাহাবুদ্দিন মোল্লার মেয়ে পারুল বাংলানিউজকে জানান, ‘তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।