ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

একনেকে ৫২৪১ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১০
একনেকে ৫২৪১ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৯১৮ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সাহায়তা থেকে।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক এর চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের ‘কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প’, ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের ‘ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প’, ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘সালদা ৩, ৪ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ ৪, ৫ গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন প্রকল্প’, ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি এবং ফেঞ্চুগঞ্জ-বিবিয়ানা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্প’, ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘কনস্ট্রাকশন অব অ্যাভিয়েশন রিফুয়েলিং ফ্যাসিলিটিজ প্রকল্প’, ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘২য় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প’ এবং ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয়ের ‘বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় দেড় হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প’।

এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বিবিয়ানা-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি এবং ফেঞ্চুগঞ্জ-বিবিয়ানা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পে’ ৬৪৩ কোটি টাকা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘২য় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্প’ খাতে ৭৫ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য রয়েছে।
 
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার এসব তথ্য জানান।

পরে তিনি বলেন, ‘দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ব্যয়বহুল। তুলনামূলক ভাবে রেলপথে খরচ অনেক কম। এ কারণে বর্তমান সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ’

দেশের যে সব স্থানে রেলপথ নেই সেসব স্থানে নতুন রেলপথ স্থাপন এবং পুরনো যে সব শাখা রেলপথ বর্তমানে বন্ধ আছে সেগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকার যানজট দূরীকরণে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণসহ সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা যায় আগামী দু’বছরে রাজধানীর যানজট অনেকটা কমে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।