ঢাকা : উন্নয়ন সহযোগীদের কড়া সমালোচনা করে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃত উন্নয়ন কাজে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, রেল লাইন স্থাপনের জন্য সহযোগিতা নয় বরং স্থলপথের রাস্তা উন্নয়নে অর্থ দিতে তারা আগ্রহী বেশি।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর এলজিআরডি মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়েজিত ‘পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও যানবাহনের ওপর একটি জাতীয় পরামর্শক কর্মশালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের অর্থে তৈরি রাস্তা প্রতিবছর মেরামত করতে হয়, এতে টাকা বার বার ব্যয় হয়। আর উন্নয়ন সহযোগিদের যারা টাকা দেয় তারা গাড়ি বানায়। এ কারণেই রাস্তা তৈরিতে অর্থ দিতে তারা বেশি আগ্রহী থাকে। আসল উন্নয়নে তারা অর্থ দেয় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার অর্থনীতির ফলেই এমন ঘটনা ঘটছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষের জন্য যে উন্নয়ন রীতিনীতি তৈরি হয়ে আসছিল এতেদিন, তার নেতিবাচক প্রভাব এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে এখনই সময় এসেছে আমাদের সকলের উন্নয়ন ভাবনায় পরিবর্তন আনা। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি জমি নষ্ট করে রাস্তা বানাচ্ছি। এর ফলে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আর নতুন কোন রাস্তা বানানো যাবে না। যে রাস্তা আছে তারই সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিদের মনোভাবও পরিবর্তন করতে হবে।
পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘যানবাহনে ব্যবহৃত ডিজেলে সালফারের উপস্থিতি থাকায় মারাত্নক ভাবে বাযূ দুষিত হচ্ছে। এতে ফুসফুসের নানাবিধ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। ’
সরকার সীসামুক্ত ডিজেল আমদানীর করার সক্রিয় চিন্তা করছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ বলেন, ১৯৮৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় প্রথমবারের মত যানবাহন সিএনজিতে রুপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্ত এখন আমাদের গ্যাস রিজার্ভ কম। তাই গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে আমাদের ভাবতে হচ্ছে।
কম সালফার যুক্ত জ্বালানি তেল আমাদানির জন্য আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনোয়ার ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় : ১৫২৯, ২৮ জুন, ২০১০।
এইচএ/এমএমকে