ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘দেশ রূপান্তরের কারিগর: শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
‘দেশ রূপান্তরের কারিগর: শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসব

ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের সম্পাদনায় ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর: শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

মঙ্গলবার (০৯ মে) এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর: শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।  

এ সময় বই আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে বলেছিলেন আমার একটি লোকে যদি না খেয়ে থাকে, একটি লোকও যদি ছায়ার নিচে না থাকে, আমার একটি লোকও যদি বস্ত্রহীন হয় তাহলে আমার স্বাধীনতা বিবর্ণ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে প্রোগ্রাম ধরে ধরে তা বাস্তবায়ন করছেন।

শেখ হাসিনা দেশ রূপান্তরের কাণ্ডারি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬-৯৭ সালের বাজেটে কৃষিতে ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের চাপ ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিল এটা থাকবেই তোমরা যদি বিভিন্ন দেশে গমের সাবসিডিয়ারি আছে ওইটা উঠাও তারপর আমরা দেখবো। এই যে সাবসিডিয়ারি শুরু করেছে তারপর থেকে কিন্তু আমাদের কিষান কিসানি যেটা শেখ মুজিবের অগ্রাধিকার ছিল সেটা শেখ হাসিনারও অগ্রধিকার। এক কোটি টনের খাদ্যশস্যে এখন সেটা ৪ কোটি টন।

ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক বন্ধুরা ভর্তুকির ওপরে বিশাল বিশাল ভাষণ দেন, লেখেন যুক্তি দেন, অনেক যুক্তি আছে কিন্তু তারা এখন দেখেন ভর্তুকি দরকার কেন ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সাবেক গভর্নর বলেন, অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছেন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো রয়েছে তবে ব্যক্তি পর্যায়ে অর্থনীতি কি হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায়ের অর্থনীতির বৈষম্যের কথা যদি আমলে না নেই তাহলে আমি কি ক্ষুদ্র মানুষের প্রতি সুবিচার করছি। যদি ৭০০ কোটি ডলার বছরে বিদেশে পাচার হয় এটার কথা যদি আমলে না নেই এবং শেখ হাসিনার প্রশংসা করে যাই তাহলে সেটা সুতি বাক্য হবে না তাহলে কি এটা তার প্রতি আমরা সুবিচার করছি। সেটা বন্ধ করার কি ব্যবস্থা নাই? আমি তো মনে করি আছি যারা ব্যবস্থা করেছিল তাদেরকে পেনাল ট্রান্সফার করা হয়েছে চাকরি চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, টাইম ওভার প্রকল্পকে কেন রিভার্স করা হয় পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে যে সমস্ত প্রকল্পে টাইম ওভার রান হয় তাদের জরিমানা করা হয়। এখানে প্রকল্পের সাইট মানি দেওয়া হয় এটা কি রকম বিচার হয়।

‘দেশ রূপান্তরের কারিগর: শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের নিয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, পুস্তকটি পাঠ্য হওয়ার মতো যদি সম্ভব হয় এর একটি ইংরেজি অথেন্টিক ট্রান্সলেশন করাতে পারলে বিশ্ব সমাজেও সমাজিত হবে বলে তিনি মনে করেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সামাজিক সূচক, অর্থনীতির সূচক, নারী ক্ষমতায়নসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ গত সাড়ে ১৪ বছরে এগিয়ে গেছে। তথ্য বহুল বইটিতে কোনো আবেগ নিয়ে লেখা হয়নি। ভবিষ্যতেও এই রকম বই বের করার চেষ্টা থাকবে।

তিনি বলেন, এটা রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। দেশের সকল লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পাওয়া যাবে। বইটিতে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের চেষ্টা করা হয়েছে কোথাও অতিরঞ্জিত হয়নি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস বলেন, বইটি ৪০টি প্রবন্ধ আছে, সবগুলোই তথ্য বহুল। তবে এই বইয়ের সব প্রবন্ধগুলো ভাগ করে বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ করা গেলে পাঠক আরও উপকৃত হতো বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, এই বইটিতে সাফল্য এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। বইটি বাংলায় সম্পাদিত হওয়ায় সবার জন্য উপকৃত হয়েছে।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, আমি যা দেখি সেটাই লেখি। ২০০৭ সাল থেকে কৃষকদের নিয়ে বাজেট আলোচনা শুরু করি। আজ ১৫/১৬ বছরে কৃষকদের পোশাকে কথায় আজকে যে পরিবর্তন তাতে তাদের দেখে মনে হয়না সে একজন কৃষক। এই পরিবর্তনটা অর্থনৈতিক শক্তির কারণে হয়েছে, এটাই আমি আমার লেখায় নিয়ে এসেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এসএমএকে/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।