ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছিনতাই হওয়া ২১টি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১০

ঢাকা: মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টানা ১৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ছিনতাইচক্রের কাছ থেকে ২১টি সিএনজি ট্যাক্সি উদ্ধার করেছে। ছিনতাই চক্রের হোতা কানা শহিদ ও কবির হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ দফতরে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয় গ্রেফতার হওয়া কানা শহিদ (৪০), তার সহকারী কবীর (৪৩), দুলাল (৩২) ও মিন্টু ওরফে নোয়াখাইল্যা মিন্টু (৩০) কে।  

এসময় ডিবি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানান, একটি সিএনজি ছিনতাইয়ের পর মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরে ঢাকাসহ চারটি জেলায় অভিযান চালিয়ে সিএনজি অটোরিক্সাগুলো উদ্ধার করা হযেছে। রোববার হরতালের দিন সকাল ১০ টা থেকে আজ সোমবার ভোর ৪ টা পর্যন্ত টানা এ অভিযান চলে।

ছিনতাইচক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ৯টি, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে দুইটি এবং ঢাকা মহানগরীর শ্যামপুর জুরাইন থেকে ৮টি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

পরে মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘রাজধানীর একটি সংঘবদ্ধ চক্র ১০ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে আসছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চক্রটির ১৫ টা গ্রুপে ৫০জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। ’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ওয়াজেদ আলীর একটি সিএনজি অটোরিক্সা গত এপ্রিল মাসে চুরি হওয়ার সূত্র ধরেই ডিবি এ অভিযান চালায়। ছিনতাইচক্র সিএনজিটি ফেরত দিতে ওয়াজেদ মিয়ার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। এসময় ছিনতাইচক্রের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার কথোপকথনের তথ্যসূত্র নিয়ে ডিএমপি ডিবি (দক্ষিণ) রোববার সকাল ১০ টায় অভিযানে নামে।

মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম বিমানবন্দর এলাকা থেকে ছিনতাইচক্রের প্রধান হোতা শহিদ ওরফে কানা শহিদ (৪০) কে গ্রেফতার করে।

তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় একইচক্রের নেতা কবীর (৪৩), দুলাল (৩২) ও মিন্টু ওরফে নোয়াখাইল্যা মিন্টু (৩০) কে।
 
ছিনতাইচক্রের কাছ থেকে এ পর্যন্ত একক কোনো অভিযানেই এত বেশি সংখ্যক চোরাই সিএনজি গাড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান মোখলেসুর রহমান।

এর আগে ডিবি একটি অভিযানে সর্বোচ্চ ৬টি চোরাই প্রাইভেট কার ও তিনটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছিল। অন্যদিকে র‌্যাব গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি পৃথক অভিযানে উদ্ধার করেছিল আটটি চোরাই গাড়ি।

গ্রেফতারকৃতরা অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়।

তারা দক্ষিণ কেরাণিগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের মাধ্যমে জাল কাগজপত্র বানিয়ে কমদামে অন্যত্র বিক্রি করে থাকে বলেও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

বাংলাদেশের সময়ঃ ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১০
এসআরআর/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।