ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উত্তরবঙ্গের বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার লোকসঙ্গীত উৎসব 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
উত্তরবঙ্গের বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার লোকসঙ্গীত উৎসব 

দিনাজপুর: উত্তরবঙ্গের ৩৩টি বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার অংশগ্রহণে দিনাজপুরে লোকসঙ্গীত উৎসব পালিত হয়েছে।

নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও উৎসব টিকিয়ে রাখতে শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উৎসবটি পালিত হয়।

এতে ৩৩টি বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা করেন।

এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।  
এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনাজপুর সঙ্গীত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গণেশ সরেণের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক রেজা, বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা রাবন কিস্কু, দৈনিক দেশবার্তার সম্পাদক চিত্ত ঘোষ, ভারতের লোকসঙ্গীত শিল্পী নরেন হাসদা, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, লোকসঙ্গীত উৎসবের আহ্বায়ক লাকী মার্ডি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা জানান, আমাদের জন্য আলাদাভাবে এরকম কোনো অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকে না। সময়ের বিবর্তনে আমাদের অস্তিত্ব আজকে সংকটের মুখে। আজকে আমরা বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ একত্রিত হয়েছি। সবাই নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমাদের অনেকেই যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে পারবে। আজকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাই একত্রিত হতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে, অনেক ভালো লাগছে। আমরা চাই বছরে অন্তত একবার যেন এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

জানা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে ৩৩টির বেশি বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার বসবাস। তাদের নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও উৎসব থাকলেও ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক চর্চা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এই জাতিসত্তার লোকশিল্পীরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পায় না। ফলে সম্ভাবনাময় এই লোক সংস্কৃতিগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাদের এসব সংস্কৃতি ও উৎসব টিকিয়ে রাখতেই এই আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।