ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরে টাকার জন্য প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
নাটোরে টাকার জন্য প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ

নাটোর: নাটোরে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার জন্য মো. মহিউদ্দিন সরকার (৫৬) নামে অসুস্থ্ এক প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে খালাতো ভায়রা ভাই মো. নিভেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে নাটোরের সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ এনে নির্যাতনের বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন সরকার। নির্যাতিত ওমান প্রবাসী মো. মহিউদ্দিন সরকার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীর বাসিন্দা। আর মো. নিভেল নাটোরের বাগাতিপাড়ার দোবিলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা  সর্ম্পকে পরস্পর খালাতো ভায়রা ভাই।

মহিউদ্দিন সরকার জানান, দেশে আসার পর তার কাছ থেকে রেলওয়ের বড় পুকুর লিজ নেওয়ার কথা বলে তারই খালাতো ভায়রা ভাই মো. নিভেল প্রথমে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। পরে টাকার জন্য চাপ দিলে গত ৬ এপ্রিল মো. নিভেল ও একই গ্রামের হাফিজ ও জুবায়েরসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন কৌশলে বাড়ি থেকে একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পৌনে তিনলাখ টাকাসহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে তাকে হাত পা বেঁধে অচেতন করে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান নদীর চরে বালির মধ্যে প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে।

এক পর্যায়ে কোনো টাকা দাবি না করার শর্তে একই গাড়িতে করে রাতের বেলা তাকে নিজ বাড়ির সামনে এনে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। অনেক অনুরোধ ও চাপের পর তিন দফায় ৭০ হাজার টাকা নিভেল তার ভায়রাকে ফেরতও দিয়েছে। পরে বাকি টাকার জন্য আবারও চাপ দিলে গত ২৫ এপ্রিল নিভেল তার বাড়িতে ভুক্তভোগিকে দাওয়াত করে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে তার পকেটে থাকা আরও ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় প্রকাশ্যে সবার সামনে প্রবাসীকে মারপিট করে ভবিষ্যতে আর টাকা চাইলে তাকে ও তার সন্তানকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে নিভেল ও তার সহযোগীরা তাকে তাড়িয়ে দেয়।

পরের দিন এসব বিষয়ে প্রতিকার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিউদ্দিন। এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত মো. নিভেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খাঁন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।