ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
নাটোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি শিলাবৃষ্টি

নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলার আঘাতে ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চালা।

তবে বৃষ্টির পানির চেয়ে শিলার তোপে মাটিতে নুয়ে পড়েছে কৃষকের সবুজ ক্ষেত।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ করে কালোমেঘে আচ্ছন্ন হয় আকাশ। সন্ধ্যার দিক থেকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। থেমে থেমে চলে রাত্রি পর্যন্ত। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টিও। বৃষ্টিতে পানির পরিমাণ কম হলেও প্রচুর শিলা পড়েছে। শিলাবৃষ্টিতে কোথাও কোথাও শিলার স্তূপ জমে যায়। তবে বৃষ্টির চেয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল বলে জানা গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টিপাতে ফসলি ক্ষেত ছাড়াও ঘর-বাড়ি ও গাছগাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ এমন ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে ধান, আম, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, শাক-সবজির ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।

উপজেলার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের অনেক জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বলেন, ধানের গাছে এখন প্রায় পাকা শিষ আর কিছুদিন পরই বোরো কাটতে হতো। কিন্তু এই ঝড়বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় ধান মাটিতে হেলে পড়ে ঝরে গেছে। এছাড়াও শাক-সবজি ও উঠতি ফসলেরও বেশ ক্ষতি  হয়েছে।  

উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক গাজিজুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন থেকে বৃষ্টির দেখা ছিল না। খুব কষ্ট করে পানি সেচ দিয়ে ধান চাষ করেছেন। অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তার প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তার ক্ষেতের পাশের জমিতে সেচ মেশিনের ঘরটিও ঝড়ে উড়ে গেছে। গ্রামের অনেক বাড়ির পুরানো ঘরের টিনগুলো শিলাবৃষ্টিতে ফুটো হয়ে গেছে।

অপর কৃষক আকতারুজ্জামান বলেন, আমার প্রায় ১০ বিঘার আম বাগান রয়েছে। সেখানে শিলাবৃষ্টিতে অধিকাংশ আম পড়ে গেছে। এছাড়াও গাছে যে আমগুলো রয়েছে তাতেও শিলার আঘাতের কারণে স্পট পড়ে যাবে। যা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

উপজেলার তমালতলা বাজারের ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, ওই বাজারে অনেক পুরানো একটি পাইকর গাছ ছিল যা আজকের ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে উপড়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় ছোট বড় অনেক গাছ ও ডালপালা ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি বেশি হয়েছে। আর তাতে ধান ও আমের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। মাঠে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পরে ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ দে্রয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।