ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাসলাইন এ বছরেই

জামাল হোসেন, বেনাপোল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১০

বেনাপোল: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য এ বছরেই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। পাইপগুলো এরই মধ্যে মংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এ অঞ্চলের গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫শ’ ৩১ কোটি টাকা। গ্যাস সরবরাহের ফলে এ অঞ্চলের শিল্পকারখানাগুলো আবারও চাঙ্গা হবে।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির কর্মকর্তারা যশোর সদরের মুরাদনগর গ্রামে জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে।

আগামী ২০১২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, গ্যাসলাইন মাটির ৩ ফুট নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। ফলে কৃষিকাজে স্থায়ী কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের পর এ বছরেই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে পাইপগুলো মংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। ’

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, ৬০ ফুট জায়গা নিয়ে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। সঠিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সহিদুল ইসলাম মিলন বাংলানিউজটোয়েনিটফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ হলে যশোরের নোয়াপাড়া-কুষ্টিয়া এবং খুলনার ভৈরব নদীতীরের বন্ধ হওয়া মিলগুলো আবারও চালু করা সম্ভব হবে। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত বছর প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, বাগেরহাট, ভেড়ামারা ও নোয়াপাড়ায় গৃহস্থালি ও শিল্পকাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

গত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এডিবি’র অর্থায়নে গ্যাস সেক্টর ডেভেলমেন্ট প্রজেক্ট ফেজ-২ এর আওতায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সঞ্চালন লাইন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। দু’টি অংশে গৃহীত প্রকল্পের প্রথম অংশে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পয়েন্ট থেকে সিরাজগঞ্জের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পর্যন্ত ১শ’ ৪১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬শ’ ১২ কোটি টাকা।

অপরদিকে ১শ’ ৬৫ কিলোমিটারের দ্বিতীয় অংশ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে ঝিনাইদহ ও যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। এ অংশের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ শ’ ৮৫ কোটি টাকা।

প্রকল্প অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার ৮শ’ ৫৬ কিলোমিটার পাইপলাইন বিতরণের কাজ করার কথা ছিল। এর মধ্যে খুলনায় ৩শ’ ৫০ কিলোমিটার, যশোর ও কুষ্টিয়ায় ১শ’ ৫০ কিলোমিটার করে ৩শ’ কিলোমিটার এবং বাকি সাত জেলায় ১শ’ ৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু অর্থ ছাড় না দেওয়ায় চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে প্রকল্প অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের দাবি জানিয়ে আসছিল। আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনী ইশতেহারে এ অঞ্চলে গ্যাস সরাবাহের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১০
প্রতিনিধি/বিকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।