ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় খেয়াঘাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
খুলনায় খেয়াঘাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান

খুলনা: খুলনায় বিভিন্ন খেয়াঘাটের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক চিঠিতে ‘হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন নং-৪৫৭/২০১৬ এর ০৬/০৮/২০১৮’ তারিখের আদেশ অনুযায়ী রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খেয়াঘাটের পরিচালনায় জেলা পরিষদকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এর আগে ৭টি ঘাটের বন্দোবস্ত (ইজারা) দিতে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেয়। জানা যায়, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে শহরের সঙ্গে নদীপথে বিভিন্ন উপজেলার যোগাযোগে কাষ্টমঘাট, জেলখানাঘাট, দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট, বার্মাশিল ঘাট, নগরঘাট/রেলিগেটঘাট ও স্টিমারঘাট খেয়াঘাট পরিচালনা করছে জেলা পরিষদ। তবে, রূপসা খেয়াঘাটের মালিকানা জেলা পরিষদের হলেও তা খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নিয়ন্ত্রণ করতো।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান ২৮মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগে দেওয়া চিঠিতে জানান, জেলা পরিষদ সৃষ্টিলগ্ন থেকে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এসব ঘাটের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারা তফশীলের ৯.২ নং উপধারায় সরকার কোনো জলাশয়ের অংশাবশষকে ‘সাধারণ খেয়া পারাপার’ হিসেবে ঘোষণা করে তা’ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত করতে পারবে। কিন্তু যেসব ঘাট পূর্ব থেকেই খেয়াঘাট হিসেবে ঘোষিত এবং ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদের ওপর ন্যস্ত সেগুলো পুনরায় ঘাট ঘোষণা দেওয়া আইনবর্হিভূত।

তিনি বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ এসব খেয়াঘাটের ইজারা দিতে দরপত্র ঘোষণা করে। কিন্তু গত ৫ মার্চ সিটি করপোরেশন ওই ঘাটের ইজারা দিতে পাল্টা দরপত্র দেয়। ফলে এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে ঘাট পরিচালনা সংক্রান্ত জটিলতায় ২০১৬ সালের মামলায় হাইকোর্ট জেলা পরিষদের পক্ষে স্থগিতাদেশ দেয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট হাইকোর্টের এক আদেশে ‘আদালত কর্তৃক পূর্বে প্রদত্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়’।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক চিঠিতে বলা হয়, যেহেতু জেলা পরিষদের খেয়াঘাট বিষয়কে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের বিভাগে আদেশ রয়েছে, এ অবস্থায় জেলা পরিষদকে এসব খেয়াঘাট বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের ঘাট পরিচালনার নির্দেশনার চিঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অনুলিপি দেওয়া হয়।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দাপ্তরিক চিঠি পাওয়ার পর ঘাট বন্দোবস্ত কার্যক্রম চালু করেছেন তারা। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।