ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি উত্থাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন।

সংসদে উত্থাপনের পরই নীতিটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।



শিক্ষানীতি উত্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দলীয় চিন্তাচেতনার উর্দ্ধে এ শিক্ষানীতিতে জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।

শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হয়েছে- মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, নীতিবান, যুক্তিবাদী, কুসংস্কারমুক্ত, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অসাম্প্রদায়িক, পরমতসহিষ্ণু, দেশপ্রেমিক ও কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলাই এই শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য।

এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে গণমুখী, বিজ্ঞানমনস্ক সুষম, সার্বজনীন, এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসাবে কাজ করবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার দক্ষতা অর্জন করতে সহযোগীতা করবে।

এই শিক্ষানীতিতে সুনির্দিষ্ট ৩০ দফা উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও নীতি সন্নিবেশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারা বিকশিত করে প্রজন্ম পরস্পরায় সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা, শিক্ষাকে সৃজনধর্মী, প্রয়োগমুখী ও উৎপাদন সহায়ক করে তোলা, শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসাবে গড়ে তোলা।

শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এটা কোনো দলীয় শিক্ষানীতি নয়।   এর পরিবর্তন ও উন্নয়নের পথ সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। কোনো ভুল-ত্রুটি হলে তা সংশোধন করা যাবে।

তিনি বলেন, মহাজোট সরকার গঠনের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করে। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৮ সদস্যের শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, এই কমিটি মাত্র চার মাসের মধ্যে একটি খসড়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ, বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত, সুপারিশ ও পরামর্শের আলোকে খসড়া শিক্ষানীতিকে আরও সংশোধন-বিয়োজন করে চূড়ান্ত আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।