ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাত্র ৫৯ লাখ টাকা খরচে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ!

হাসান আজাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০
মাত্র ৫৯ লাখ টাকা খরচে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ!

ঢাকা: মাত্র ৫৯ লাখ টাকা খরচে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর তা সম্ভব হচ্ছে কন্ট্রোল কার্ডের সংযোজন, সঠিক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

উদ্যোগের কৃতিত্ব অনেকাংশেই বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদের।
 
গত এক বছর ধরে শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি ইউনিট বন্ধ থাকার পর সামান্য কিছু খরচেই সেদুটি চালু করা সম্ভব হলো।
 
শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার ইন-চার্জ ধুর্জটি প্রসাদ জানান, ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর ৬ নং ইউনিট ও ৮ আগষ্ট ৫ নং ইউনিট সর্বশেষ চালু ছিল। ঐদিনের পর কেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এবং খুচরা যন্ত্রপাতির অভাবে আর চালানো সম্ভব হয়নি।

আগষ্ট মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পুরানো কেন্দ্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ সচিব। এরই ধারাবাহিকতায় শাহজীবাজার কেন্দ্রের ৫ ও ৬ নং ইউনিটটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় দুটি ইউনিটেই কন্ট্রোল কার্ড সংযোজন করলেই চালু করা সম্ভব।

বিদ্যুৎ সচিবের পরামর্শে দ্রুততার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হয়। যার দাম পড়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

আর কন্ট্রোল কার্ড স্থাপনের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামুলক ভাবে ইউনিট দুটি চালু করা হয় ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট দুটি ১৯ সেপ্টেম্বর পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে।

ধূর্জটি প্রসাদ জানান, ওই দিন থেকেই দিনে ২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

তিনি বলেন, এর কৃতিত্ব অনেকাংশেই বিদ্যুৎ সচিবের। তার প্রচেষ্টা ও উদ্যোগেই এমনা সম্ভব হয়েছে।

তবে বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮-৭৯ সালে গ্যাস ভিত্তিক ৬টি ইউনিট নিয়ে শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। ৯০ দশকের শুরু থেকে এই কেন্দ্রের সব কটি ইউনিটে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়।

ধূর্জটি প্রসাদ বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়ে পড়ে যে, ইউনিটগুলোর একটি চালু থাকেতো অন্যগুলো বন্ধ থাকে। এমন চলতে থাকে বছরের পর বছর। ’

তিনি জানান, ২০০০ সালের পরে এই কেন্দ্রে নতুন করে আরও ৩টি ইউনিট যোগ হয়।

২০০৮ সালে বেসরকারি খাতে শাহজীবাজার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমার্ণ করা হয়। এই সময় সরকার উদ্যোক্তার সঙ্গে চুক্তি অনুসারে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে বাধ্য থাকায়, সেখানেই গ্যাস সরাবরাহ করতে থাকে। এতে শাহজীবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিটগুলো চালানোর মত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

এতেই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯৩৮ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।