ঢাকা: বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের কথা জানাবে।
বাহকের মাধ্যমে দিনের কোনো এক সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।
সংগঠনের অর্থ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, সোমবার বাহকের মাধ্যমে তাদের দাবি ও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে। এরপর সরকার মনে করলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত আছেন।
রোববার সংগঠনের ১৪টি জোনের সদস্যদের নিয়ে জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মিক্রমে সাত দফা দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের সাত দফার মধ্যে রয়েছে সিএনজি স্টেশন ছয় ঘন্টা বন্ধের ঘোষণা বাতিল, গ্যাসের চাপ সংকট ও পিক আওয়ারে রেশিনিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ঋণখেলাপী স্টেশন সমুহকে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিÍর ব্যবস্থা করা, সকল স্টেশনে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইভিসি ( ইলেকট্রিক ভলিউম কারেক্টর) মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল নেওয়া এবং অতিরিক্ত বিল সমন্বয় করা, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্স ফি পাঁচ হাজার এবং নবায়ন ফি এক হাজার টাকা নির্ধারণ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যহতি, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল ) কর্তৃক আদায়কৃত বার্ষিক ফি প্রত্যাহার ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিএনজি খাত সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭, ৩ অক্টোবর, ২০১০