ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শয়ন কক্ষে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ, ৩ প্রতিবেশী আটক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
শয়ন কক্ষে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ, ৩ প্রতিবেশী আটক

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় নিজ শয়ন কক্ষ থেকে হাজেরা খাতুন (৭৪) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন প্রতিবেশীকে আটক করেছে পুলিশ।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পুলিশের অপরাধ তদন্ত দল (ডিবি) ওই বাড়ি থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে হাজেরা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত হাজেরা খাতুনের বাড়ি উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘাইল গোলাবাড়ী গ্রামে। সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ শোবার ঘরে তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর স্ত্রী এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলামের বোন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত মরদেহ পায়। এ সময় ঘরের আলমারি খোলা ও জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত দল (ডিবি) রাতে ওই বাড়িতে পৌঁছে কিছু আলামত সংগ্রহ করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাতেই তিন প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসান বাসির বলেন, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। তবে তদন্তে হত্যার বিষয়ে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।  

হাসান বাসির আরও বলেন, নিহতের দাফন শেষে পরিবারের লোকজন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নিহত হাজেরা খাতুনের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। তাদের মধ্যে দুই মেয়ে বিদেশে থাকেন। অন্যরা সবাই ঢাকায় থাকেন। হাজেরা খাতুনও অধিকাংশ সময় ঢাকাতেই থাকেন। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে এসে থাকতেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালেও কয়েকজন প্রতিবেশী তাকে বাড়ির বাগানে ঘুরতে দেখেছেন। এরপর থেকেই তাকে আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। তার সন্তানেরা ঢাকা থেকে দিনভর মাকে ফোন দিয়ে পাননি। বিকেলে তারা বিষয়টি কয়েকজন প্রতিবেশী ও মামা হাবিবুল ইসলামকে জানান। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে হাবিবুল ইসলাম বাড়িতে ঢুকে বোনের শোবার ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর তারা ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাজেরা খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।