ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামী ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসেও মুক্তি মেলেনি শিলার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
স্বামী ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসেও মুক্তি মেলেনি শিলার মৃতের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়। ছবি- মোমিনুর রশিদ সাগর

গাইবান্ধা: অমতে বিয়ের পর তালাকের মাধ্যমে স্বামীর বাড়ির নির্যাতন থেকে মুক্তি মিললেও বাবার বাড়িতে মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে শিলা আক্তার (১৬) নামে এক নারী ইঁদুর মারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত শিলা আক্তার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দেড় বছর আগে একই উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের ওসমানের পাড়া গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আপেল মাহমুদের সঙ্গে শিলার বিয়ে দেন তার বাবা-মা। বিয়েতে অবশ্য মত ছিল না শিলার।

কম বয়সে বিয়ের ফলে সংসারের বিভিন্ন কাজকর্ম সময় মতো করতে না পারায় শিলার ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে ছয় মাস আগে তাদের সংসার ভেঙে যায়।

তালাকের পর থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল শিলা। সেখানে ছোট-খাটো বিষয় ছাড়াও সংসার ভাঙার জন্য শিলাকে দায়ী করে তার ওপর চালানো হয় মানসিক নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন শিলা।

সাঘাটা থানার ওসি রাজু সরকার বলেন, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ইঁদুর মারা বিষ পান করে শিলা। বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত তাকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিলার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকায় এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের আবেদন করায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।