চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে অনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. শাহ আলম ও শামসুল হক চৌধুরীর অপসারণ দাবি করেছে বন্দর শ্রমিকদের সংগঠন ডক বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ডক শ্রমিক নেতারা।
সংসদীয় কমিটির অনৈতিক হস্তপে বন্ধ না হলে বন্দর অচল করে দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান খান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কমিটির তিন সদস্য এবং সাবেক ৬ জন বার্থ অপারেটর মিলে গড়ে উঠা একটি স্বার্থাম্বেষী চক্র অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে টেন্ডারের নথিপত্র নিজেদের কাছে নিয়ে গিয়ে জরুরি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। ’
একই স্বার্থান্বেষী চক্র ৬টি জেনরেল কার্গো বার্থের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি করে প্রায় ৩৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
ডক শ্রমিকদের এসব অভিযোগের জবাব জানতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এবং সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও উভয়ই রিসিভ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ সহ ১৬ জন ডক শ্রমিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার চট্টগ্রামে এক গোলটেবিল বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অবৈধ হস্তেেপ চট্টগ্রাম বন্দরের অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারদলীয় সাংসদ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেণ্ট এমএ লতিফ বন্দরের অবনতিশীল পরিস্থিতির জন্য নৌমন্ত্রী ও বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর আরইউ আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন
বাংলাদেশ সময় : ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১০