ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য বিভাগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী নিয়োগ বাতিলের দাবীতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের লাগাতার কর্মসূচির চতুর্থ দিনে আজ রোববার সিভিল সার্জনের কার্যালয় ঘেরাও করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
গত সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য বিভাগে কম্পিউটার অপারেটর, ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএস, ঝাড়–দার, মশালচীসহ বিভিন্ন পদে ৮৩ জনের বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘেরাও কর্মসূচি বেলা এগারোটায় শুরু হয়ে দুপুর একটায় শেষ হয়। এ সময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কয়েকটি জানালা ও নামফলক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে র্যাব-৯ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দু’টি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্বা সংসদ কমান্ডার হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা জানান, বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্বা গাজী মো. রতন মিয়া, এবিএম শাহজাহান, নারী নেত্রী আলম তারা দোলী, মুক্তিযোদ্বা সন্তান কমিটির সভাপতি এনামুল হক কাজল প্রমুখ।
অপরদিকে ঘেরাও শুরুর আগে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের জন্যে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, চরম দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু সাঈদ একেকটি নিয়োগের বিপরীতে ৩/৪লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১০