ঢাকা: শিল্পাঙ্গণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই তা মোকাবিলা করতে শিল্পাঞ্চল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
একই সঙ্গে পোশাকশিল্পকে ধ্বংসকারী এ মহলের গতিবিধি ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি।
রোববার মিরপুরস্থ পুলিশ স্টাফ কলেজে শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব নির্দেশ দেন।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে শুরু হলো শিল্পাঞ্চল পুলিশের কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্ধনে নমসর্বস্ব সংগঠনের নামে দেশের শিল্পাঞ্চলে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করে বিকাশমান এ শিল্পকে ধংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ’
তিনি জানান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের আওতায় রয়েছেন দুই হাজার ৯৯০ জন। প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৫৮০ জনকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অচিরেই বাকিদের এ বাহিনীতে নিয়ে আসা হবে।
গত ৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাটেক্সপো’র অনুষ্ঠানে দেশের শিল্পাঞ্চলে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে শিল্পাঞ্চল পুলিশ নামে একটি বিশেষায়িত বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার থেকে এ বাহিনীর যাত্রা শুরু।
সাহারা খাতুন জানান, শিল্পাঞ্চল পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা শ্রম আইন, শিল্পসংক্রান্ত মনস্তত্ত্ব ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে এ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যডাভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, সম্পূর্ণ একটি নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ যাত্রা করছে। পোশাক শিল্পকে যারা ধংস করতে চাইছে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাদের মাঠে নামানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, স্টাফ কলেজের রেক্টর নাইম আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর, ২০১০