ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ভিয়েতনাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ভিয়েতনাম ছবি: পিআইডি

ঢাকা: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

 

এ সময় স্পিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতার কথা বললে রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান।

সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ভিয়েতনাম সফরের সময় ভিয়েতনাম সংসদের আতিথিয়তার প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আশিয়ানভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বাড়াতে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশ পথে যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। এ সময় বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে রাষ্ট্রদূতের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি খাতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত প্রসারমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত স্পিকারকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় স্পিকারও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।