ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয়করণ চেয়ে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ, বরাদ্দ না পেলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
জাতীয়করণ চেয়ে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ, বরাদ্দ না পেলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি জাতীয়করণ চেয়ে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

ঢাকা: মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে মহাসমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। সোমবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)।

মহাসমাবেশে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।  

তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে। এ ছাড়া উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। তাছাড়া কয়েক বছর যাবত কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষায় বিনিয়োগে ইউনেস্কো আইএলওর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নসহ সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষার জাতীয়করণ প্রয়োজন।

এ সময় আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না রাখা হলে আগামী ১১ জুন থেকে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘট পালনের হুঁশিয়ারি দেন বিটিএ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।

বিটিএ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাহার আহমেদের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলহার মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, রঞ্জিত কুমার সাহা, এসএম শাহাদাৎ হোসেন, দাস আশীয়, মাসুম হাসান, ফরিদুল আলম জাহাঙ্গীর, মীর আশরাফ হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, আহসানুল হক মুকুল, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নূরুন্নাহার, গোলাম রব্বানী, আতিয়ার রহমান প্রামানিক, মো. ইকবাল হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, শামসুন্নাহার বেগম, আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্রু আমিন মো. সেলিম, মো. আনোয়ার হোসেন, সুনীল বরণ হালদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।