ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহে শনিবার সকালে সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জনের বাসভবন এবং হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ একদল যুবক।
এ সময় তারা হাসপাতালের কর্মচারীদেরও মারধর করেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারীর পদে ঘুষ দিয়েও চাকরি না পেয়ে বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রত্যাশীরা এ হামলা চালান।
হামলার সময় হাসপাতাল এলাকায় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে সিভিল সার্জন ও আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন (আরএমও) বাংলানিউজকে জানান, ‘শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০/১৫ জনের একদল যুবক প্রথমে সিভিল সার্জন ডা. কেরমাত আলীর বাসায় যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে ওয়ার্ডবয় নুরুল ইসলামকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। ’
তিনি বলেন, ‘এরপর তারা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার অফিসে ঢুকে চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ’
হামলার সময় উপস্থিত বিএমএ’র ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দুলাল কুমার চক্রবর্তী ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান দবির বিক্ষুব্ধ যুবকদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
এদিকে, চাকরিবঞ্চিত যুবকরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার নাম করে সরকারি দলের কতিপয় নেতা তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ লাখ করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তারা দেখেন, তালিকায় তাদের নাম ওঠেনি। ’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. কেরামত আলী জানান, ‘তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। ’ হাসপাতালে কী ঘটেছে, তা তার জানা নেই। তিনি জানান, ‘সরকার হাসপাতালের সব নিয়োগ স্থগিত করেছে। ’
ভাঙচুর বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সগির মিঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালে ভাঙচুর বা হামলা হয়েছে, এমন কথা তাকে কেউ জানায় নি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১০