চট্টগ্রাম: প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক দেশের আইন বিভাগকে অবজ্ঞা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭ ধারা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার উৎস জনগণ।
শনিবার সকালে চট্টগ্রামের গুড হিলের নিজ বাসভবনে সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি দেশের আইন এবং নির্বাহী বিভাগকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অসাংবিধানিক ধারাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। ’
দেশের স্থিতিশীলতা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিবিদদের আলোচনায় বসায় আহবান জানিয়ে বলেন, ‘অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব ও ব্যর্থতা রাজনীতিবিদদের বহন করতে হবে। ’
৫ম সংশোধনী বাতিল করা হলেও বিচারপতিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মাশার্ল ল’ অর্ডিন্যান্সের ধারা বাতিল করা হয়নি বলে উল্লেখ করে বিএনপি’র এই সাংসদ বলেন, ‘বিচারকদের বয়স বৃদ্ধিসহ স্বার্থ সংক্রান্ত ধারা বাতিল করা হলে তিনি আর বিচারপতি হওয়ার সুযোগ পেতেন না। নাতি-পুতি নিয়ে এখন সময় কাটাতেন। ’
ওয়ানইলেভেনের সময় বিচারপতিরা সেনাসমর্থিত সরকারকে সমর্থন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওয়ানইলেভেনের সময় যেটা পর্দার অন্তরালে হয়েছে এখন সেটা প্রকাশ্যে করা হচ্ছে। ’
সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুচিন্তি, সুপরিকল্পিত ও সুকারণে ৫ম সংশোধনী করা হয়েছে। এ জন্য সংবিধানের ১৫৩ অনুচ্ছেদের কোথাও মুক্তিযুদ্ধ কথাটা নেই। ’
মুসলিম দেশ হিসাবে আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোটা স্পর্শকাতর উল্লেখ করে সরকারকে বিয়য়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানান সাকা চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এরশাদউল্লাহ ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নাজিমুর রহমানসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১০